রাস্তার পাশে খাবারের দোকান, রসনা জেগেছিল তাই ঢুকলাম। আমি যখন খেতে শুরু করেছি, ঠিক তখনই_ দরিদ্র শিশুটি, দোকানটা আর আমাকে দেখে গেছে। তার তৃষ্ণার্ত চোখ দুটো আমার মগজে ঢুকে গেছে।
আমার চোখ নিচু হয়ে আসে। আমার লজ্জা হয়, অপরাধবোধ হয়। আমি সঙ্কুচিত হয়ে যাই।
এই নীলাভ গ্রহ পৃথিবী, যেখানে তোমার আমার বসত; এখানে পদে পদে নিজের কাছে ছোট হতে হয়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম
"তার তৃষ্ণার্ত চোখ দুটো আমার মগজে ঢুকে গেছে। "---ওদের চোখে তাকাবার সাহস সমাজের কজনেরইবা আছে ! ভাল লিখেছেন আপনার ভাবনাগুলো সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে । আগামীতে আরও ভাল ভাল চিন্তাশীল লেখা পাব সেই প্রত্যাশায় অনেক শুভকামনা ।
সুমন কান্তি দাস
আমার চোখ নিচু হয়ে আসে।
আমার লজ্জা হয়, অপরাধবোধ হয়।
আমি সঙ্কুচিত হয়ে যাই।
সত্যি অসাধারণ অনুভুতি..............শুভকামনা আপনার জন্য..........
রনীল
খুব সুন্দর, সরল ভাষায় লেখা কবিতা... সমস্যা হচ্ছে, দিন দিন আমাদের এ ধরনের সংবেদনশীলতার ভাবটুকু হালকা হয়ে যাচ্ছে। এখন আর খুব একটা লজ্জা বোধ হয়না... আকাশের দিকে তাকিয়ে এক ফাঁকে টুক করে খেয়ে নিলেই ঝামেলা শেষ!
মনির মুকুল
তখন কিশোর আমি। সাইকেলে বসে বাদাম খেতে খেতে আসছি। হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার দিকে ছোট্ট একটা বাচ্চা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চাহনী দেখে বুঝেছিলাম সে অনেকক্ষণ ধরেই তাকিয়ে আছে। আমার সাইকেলটা চলে আসলো। তাকে বাদাম দেয়া হয়নি। আজও আমি কিছু খাওয়ার সময় কোন টোকাই হাত পাতলে তাকে ফিরাই না। তবু সেদিনের সেই ছেলেটির কথা ভুলতে পারি না। মনে হয় যেন আমি তার কাছে ঋণি। আপনার লেখাটা পড়ে পেছনে চলে গিয়েলাম। তাতেই বোঝা যায় লেখার গভীরতা কেমন ছিল......
আহমাদ মুকুল
কয়েকটি পংক্তিতে মনকাড়া বক্তব্য, কবিতাতো আপনার সবসময়েই দারুন। যে চারিদিকে তাকায়-তারই বিপদ। যে চিন্তা খাটায় তারই ছোট হয়ে যাওয়া। বাস্তববাদীরা চোখ-মন বন্ধ করেই চলে। এই গ্রহে তারাই উপযুক্ত মানুষ বলে মনে হয় প্রতিনিয়ত।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।